বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের রশিদপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮ জনে দাঁড়িয়েছে। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়া রহিমা বেগম নামে এক নারী ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শুক্রবার সকাল ৭টায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলার রশিদপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ৪ জন ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও ৩ জন মারা যান। এ দুর্ঘটনায় আরও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, সকাল টার দিকে সিলেটগামী লন্ডন এক্সপ্রেস (ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৩১৭৬) ও ঢাকাগামী এনা পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব ১৪-৭৩১১) মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ৪ জন মারা যান। এছাড়া হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও ৩ জন মারা যান বলে শুনেছি। এই দুর্ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
ওসি বলেন, নিহতদের মধ্যে বাসের চালকও রয়েছেন। হতাহতদের উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
রহিমা বেগম ছাড়া অপর নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সালমান খান (২৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের নুরুল আমিন (৫০), সাগর (১৯), সিলেটের ওসমানী নগরের মঞ্জুর আহমদ মঞ্জু(৩৫), একই উপজেলার জাহাঙ্গির হোসেন (৩০), ডা. ইমরান খান রুমেল (৪৮) ও সিলেট নগরের আখালিয়ার শাহ কামাল (৪৫)।
এদের মধ্যে মঞ্জু এনা পরিবহনের চালক ও জাহাঙ্গির তার সহযোগি। নুরুল আমিন লন্ডন এক্সপ্রেসের সুপারভাইজার আর ডা. ইমরান উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রভাষক।
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, সিলেটের উপ পরিচালক কোবাদ আলী সরকার বলেন, গাড়ি সবসময় রাস্তায় বাঁ পাশ দিয়ে চলার কথা। কিন্তু দুর্ঘটনা কবলিত লন্ডন এক্সপ্রেস বাঁ পাশ ছেড়ে ডান পাশে চলে যায়। ডান পাশে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা এনা বাসকে ধাক্কা দেয়।
তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে খুব বেশি কুয়াশা ছিলো না। ধারণা করছি, ব্রিজ ক্রস করতে গিয়ে লন্ডন এক্সপ্রেসের চালক স্ট্রিয়ারিংয়ের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এতে বাসটি ভুল ট্র্যাকে চলে যায়। একারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। তবে দুর্ঘটনার আসল কারণ পরবর্তীতে তদন্তে জানা যাবে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনায় দুটি বাসের সামনে অংশ দুমড়ে মুছড়ে যায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। তারা প্রায় একঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে। স্থানীয় সূত্রে নিহতের সংখ্যা ৮ বলে জানিয়েছে।
দুর্ঘটনার পর কিছু সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও সকাল ৯টার দিকে বাস চলাচল চালু রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।