বিজ্ঞাপন
স্টাফ রিপোর্ট : গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ৯টি ওয়ার্ডে ৬১টি বুথে পৌরবাসী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। ভোট গ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় উপজেলা সম্মেলন কক্ষে এ ফলফল ঘোষণা করেন সহকারী রির্টানিং অফিসার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান।
এ ফলাফলে বেসরকারিভাবে ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ড উটপাখি প্রতীক নিয়ে পরপর চতুর্থবার নির্বাচিত হয়েছেন জহির উদ্দিন সেলিম। তিনি ভোট পেয়েছেন ৫শত ৮৩। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পানির বোতল প্রতীকে সুমন আলী পেয়েছেন ৪শত ৪১ভোট। নাজমুল হোসেন টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে পেয়েছেন ২৫২ ভোট ও মোহাম্মদ আলী পাঞ্জাবি প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ভোট।
২নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে গাজর প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয় বারের মত নির্বাচিত হয়েছেন জামেল আহমদ চৌধুরী। তার প্রাপ্তভোট ৬শত ২১। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ব্লাকবোর্ড প্রতীক নিয়ে
৪শত ৬৮ ভোট পেয়েছেন লায়েক আহমদ। ছাব্বির চৌধুরী মুন্না উটপাখি প্রতীকে পেয়েছেন ২২৯ ভোট, লায়েক আহমদ পানির বোতল প্রতীকে পেয়েছেন ১৫৪ভোট, মিনহাজ উদ্দিন টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে পেয়েছেন ৮৩ভোট ও আব্দুল কাদির পাঞ্জাবী প্রতীকে পেয়েছেন ৭৯ভোট।
৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে উটপাখি প্রতীক নিয়ে ৩শত ৮০ পেয়ে পুণঃনির্বাচিত হয়েছেন জবান আলী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পাঞ্জাবি প্রতীকে আজমল হোসেন পেয়েছেন ৩শত ৪১ ভোট। গোলাম মস্তফা মুসা পাঞ্জাবী প্রতীকে ৪৪৫টি ভোট, ফখরুল ইসলাম সাহেদ ব্ল্যাকবোর্ড প্রতীকে ৬২ ভোট, খালেদ হোসেন টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে ৫৩টি ভোট ও কাওছার আহমদ নেওয়ার ডালিম প্রতীক নিয়ে ৩১টি ভোট পেয়েছেন।
৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে পানির বোতল প্রতীকে প্রতীকে ৬শত ৩৫ ভোট পেয়ে আবারো নির্বাচিত হয়েছেন এম ফজলুল আলম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উটপাখি প্রতীকে মঞ্জুর আহমদ পেয়েছেন ৫শত ৫২ ভোট। গোলাম মস্তফা মুসা পাঞ্জাবী প্রতীকে ৪৪৫টি ভোট, ফখরুল ইসলাম সাহেদ ব্ল্যাকবোর্ড প্রতীকে ৬২ ভোট, খালেদ হোসেন টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে ৫৩টি ভোট ও কাওছার আহমদ নেওয়ার ডালিম প্রতীক নিয়ে ৩১টি ভোট পেয়েছেন।
৫নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে হেট্রিক বিজয় লাভ করেছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রুহিন আহমদ খান। পানির বোতল প্রতীক নিয়ে তিনি ভোট পেয়েছেন ৬শত ৩১। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গাজর প্রতীক নিয়ে মোঃ মুজিবুর রহমান মুহিব পেয়েছেন ৩শত ১৮ ভোট। গাজর প্রতীক নিয়ে ৩১৮ভোট, আবুল হোসেন বাদশা ডালিম প্রতীকে ২৯০ভোট, ফয়জুর রহমান বদরুল উট পাখি প্রতীকে ২০৬ ভোট, কবির আহমদ পাঞ্জাবী প্রতীকে ১৪৩টি ভোট ও সোলেমান আহমদ টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে ১২০টি ভোট পেয়েছেন।
৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে গাজর প্রতীক নিয়ে ৭শত ৪৮ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মত নির্বাচিত হয়েছেন জাহেদ আহমদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান কাউন্সিলর মোঃ আব্দুল জলিল ব্লাকবোর্ড প্রতীকে পেয়েছেন ৩শত ৫৬ভোট। নাদিম আহমদ শিপলু টেবিল ল্যাম্প প্রতীক নিয়ে ২০১ভোট, নায়েদ আহমদ ডালিম প্রতীকে ১৮৭টি ভোট, সৈয়দ শাহনুর এলন পাঞ্জাবী প্রতীকে ২৮৪ভোট, হেলাল আহমদ উটপাখি প্রতীকে ১৩২টি ভোট, আজিজুর রহমান পাপন ফাইল কেবিনেট প্রতীকে ১৩১ভোট ও আব্দুর রহমান তফদার পেয়েছেন ২০ভোট।
৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে পরপর চতুর্থবারের মত পানির বোতল প্রতীক নিয়ে ৯শত ৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন হেলালুজ্জামান হেলাল৷
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেজাউল হক রনি ব্লাকবোর্ড প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭শত ৯৪ ভোট।
মুর্শেদ চৌধুরী ডালিম প্রতীকে ১৫৪টি ভোট, দেলোওয়ার হোসেন উট পাখি প্রতীকে ১৩৪টি ভোট ও সুমন আহমদ পাঞ্জাবী প্রতীকে ৩৪টি ভোট পেয়েছেন।
৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে উটপাখি প্রতীক নিয়ে ৮শত ২০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বারের মত নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর ফারুক আলী । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান কাউন্সিলর জামাল আহমদ জানাল পাঞ্জাবি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫শত ৬৮ ভোট। জুবায়ের আহমদ পানির বোতল নিয়ে ৫০৯টি ভোট পেয়েছেন।
৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে সাবেক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে ৬শত ৮৫ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বারের মত নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাদেক আহমদ উটপাখি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫শত ১৮ ভোট। নাজিম উদ্দিন পানির বোতল প্রতীকে ৪৭২ভোট, মিনহাজুল ইসলাম পাঞ্জাবী প্রতীকে ৭০ভোট ও আবিদ হোসেন ডালিম প্রতীকে ৩৬টি ভোট পেয়েছেন।
এদিকে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১,২, ৩নং ওয়ার্ডে জবা প্রতীক নিয়ে শেফা বেগম বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১হাজার ৬৮৩টি ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছোফিয়া বেগম বলপেন প্রতীকে ৯২৮ভোট, স্বপ্না বেগম চশমা প্রতীকে ৮৬২ভোট, জলি রানী পাল আনারস প্রতীকে ৪৯৬ ভোট ও রহিমা আক্তার পপি টোলফোন প্রতীকে পেয়েছেন ১৪৬ টি ভোট।
৪,৫,৬নং ওয়ার্ডে ২হাজার ৩৭৫ টি ভোট পেয়ে আনারস প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন মেহেরুন বেগম। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাজমা বেগম চশমা প্রতীকে ২হাজার ২৪২ টি ভোট ও মরিয়ম বেগম অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ৭৩৯ টি ভোট।
৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডে চশমা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন মনোয়ারা ফেরদৌস। তিনি পেয়েছেন ৩হাজার ৪৯৯টি ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামীমা বেগম আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২হাজার ২৩৩ টি ভোট।