বিজ্ঞাপন
হারিছ আলী : ইউরোপে যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর সিলেটের গোলাপগঞ্জের আব্দুল মুমিতের ভাগ্যে এখন কী ঘটছে? তুরস্কে যাওয়ার পথে ইরান-তুরস্ক সীমান্তে নিখোঁজ রয়েছেন তিনি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ।
কোথায় আছেন তিনি? কীভাবে আছেন, আদৌ বেঁচে আছেন কিনা? এমন প্রশ্ন তার পরিবারের লোকজনদের। ৬ মাস থেকে প্রবাসে নিখোঁজ থাকায় তারা রয়েছেন চরম দুশ্চিন্তায়। তাদের মধ্যে বিরাজ করছে এখন শুধুই উদ্বেগ-হতাশা। এদিকে তাকে ইরান-তুরস্ক সীমান্তে পাঠানো দালালরাও এখন ফোন ধরছে না।
জানা যায়, নিখোঁজ আব্দুল মুমিত উপজেলার চন্দরপুর এলাকার বানিগাজী গ্রামের মৃত আমির উদ্দিনের ছেলে। তুরস্কে যাওয়ার জন্য তিনি প্রথমে দুবাইয়ে পাড়ি জমান। এরপর তিনি পড়েন দালালের খপ্পরে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ তুরস্কে যাওয়ার জন্য দালালরা তাকে নিয়ে যায় ইরানে। ইরানের উরুমিয়া সীমান্তে যাওয়ার আগপর্যন্ত তিনি তার পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করলেও গত বছরের ২৯ জুন থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
নিখোঁজ আব্দুল মুমিতের ভাই ফ্রান্স প্রবাসী জুনেদ আহমদ জানান, সর্বশেষ ২৯ জুন আব্দুল মুমিতের সঙ্গে তার ফোনে কথা হয়। এ সময় আব্দুল মুমিত ইরানের উরুমিয়া সীমান্তে অবস্থান করছিলেন বলে জানিয়েছিলেন। পরের দিন তার তুরস্কে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এরপর থেকে আব্দুল মুমিতের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি জানান, তার সঙ্গে ইরানে অবস্থানরত হবিগঞ্জের বাসিন্দা দালাল আব্দুল মালিক ও ওমানে অবস্থানরত গোলাপগঞ্জের ফুলসাইন্দ এলাকার দালাল জসিম উদ্দিন প্রথমে জানায়, আব্দুল মুমিতকে তুরস্ক পুলিশ আটক করে জেলে রেখেছে। সে মুক্তি পাওয়ার পর যোগাযোগ করবে। প্রথমে তারা ফোন রিসিভ করলেও এরপর থেকে আর কোনো ফোন রিসিভ করছে না।
বর্তমানে নিখোঁজ আব্দুল মুমিত কোথায় আছেন? কীভাবে আছেন? আদৌ বেঁচে আছেন কিনা- এ নিয়ে সন্দিহান তার পরিবারের লোকজন। বর্তমানে তাদের পরিবারে বিরাজ করছে এক অজানা উদ্বেগ-আতঙ্ক।