বিজ্ঞাপন
ফাহিম আহমদ: 'আমার আম্মারে আপনারা আল্লাহর ওয়াস্তে ভোট দেওক্ষা'। আমি প্রতিবন্ধী, হাঁটতাম পারিনি। আমার আম্মা নির্বাচন ও খাঁড়া (দাঁড়িয়ে) ওইছেন। আমি যদি ভালা থাকতাম তাইলে আপনারার কাছে গিয়ে ভোট ভিক্ষা চাইলাম ওনে। আকুতির সুরে, কান্নাজড়িত কন্ঠে কথাগুলো বলছিলেন আলম আহমদ।
গোলাপগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী স্বপ্না খাতুনের একমাত্র প্রতিবন্ধী ছেলে আলম আহমদ।
আলম আহমদ বলেন, আমার আম্মা গত নির্বাচনে সামান্য ভোটের কারণে পরাজিত হয়েছেন। আমি সামান্য সামান্য কথা বলতে পারি। তবে হাঁটতে পারিনা। আমার বাবা নেই আর কোন ভাই-বোন নেই যে মায়ের জন্য আপনাদের কাছে গিয়ে ভোট চাইবেন। তাই আমি প্রতিবন্ধী হয়ে বাড়িতে থেকে আপনাদের কাছে ভোট ভিক্ষা চাইতেছি। দয়া করে আমার দিকে চেয়ে আপনারা আমার আম্মাকে ভোট দিবেন।
আলম আহমদ সম্পর্কে তার মা কাউন্সিলর প্রার্থী স্বপ্না খাতুন বলেন, ৩ বছর বয়স পর্যন্ত সে হাটতো পারতো না। এরপর থেকে খুঁড়ে খুঁড়ে হাটলেও ৯ বছর বয়স হওয়ার পর থেকে সে আর হাটতে পারেনি। অনেক চিকিৎসা করিয়েও ছেলেকে ভাল করা সম্ভব হয়নি। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে এভাবে বেঁচে আছি।
জানা যায়, স্বপ্ন খাতুন ২০০২ সালে তিনি একবার নির্বাচিত হোন। এর গত নির্বাচনে তিনি মাত্র ৬৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হোন।