বিজ্ঞাপন
জি ভয়েস ডেস্ক: দোকানের নাম- শেখ হাসিনা স্টোর। দোকানের সাইননবোর্ডে এমন নাম লেখা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ছবিও জুড়ে দেওয়া হয়েছে সাইনবোর্ডে।
সিলেট নগরের লালদিঘীর পাড় এলাকার এই দোকানটি নিয়ে মঙ্গলবার উত্তেজনা তোলপাড় দেখা দেয়। উত্তেজনার প্রেক্ষিতে পুলিশ গিয়ে ওই সাইরবোর্ড খুলে দেয়। দোকান মালিক সাইফুর হোসেন সাজ্জাদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়রিও (জিডি) করা হয়।
তবে সাইফুর হোসেন বলছেন, ভালোবাসা থেকেই তিনি এমনটি করেছেন। তার ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য ছিলো না।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নগরের লালদিঘীর পাড় নতুন মার্কেটের বি ব্লকে চা-পাতার দোকান দিয়ে ব্যবসা করেন সাইফুর হোসেন সাজ্জাদ। তিনি ওরিয়ন টি-কোম্পানি লিমিটেড ও মডার্ন ফুড লিমিটেডের ডিলার।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) হঠাৎ করে দোকানের দ্বিতীয় তলায় ‘শেখ হাসিনা স্টোর’ নামে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেন সাইফুর। এ বিষয়টি নজরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জড়ো হয়ে আপত্তি জানান। এনিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশ গিয়ে ইউ সাইনবোর্ডটি খুলে দেয়।
দোকানের নাম শেখ হাসিনা স্টোর দেওয়া প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী সাইফুর হোসেন সাজ্জাদ বলেন, আমি শেখ হাসিনাকে পছন্দ করে। ছোটবেলা থেকেই আমি তার অনুসারী। এই ভালোবাসা থেকেই নিজের দোকানের নাম প্রধানমন্ত্রীর নামে দিয়েছি। এর পেছনে ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য নেই।
তবে প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যববহার করে সাইনবোর্ড টানানোর পর থেকেই অনেকটা ঝামেলায় পড়েছেন বলে জানালেন সাইফুর। তিনি বলেন, অনেকেই আমাকে ভুল বুঝছে। আমি আজকেও মাসুক ভাইয়ের (মহানগর আওয়ামী লীগে সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ) বাসায় গিয়ে তাকে বিষয়টা বুঝিয়ে এসেছি। এখন পুলিশ ফাঁড়িতে যাচ্ছি।
তবে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সাইফুর হোসেন সাজ্জাদের কোনো ট্রেড লাইসেন্স নেই। তিনি তার অবৈধ ব্যবসা চালানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করেছেন।
যদিও এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাইফুর।
এ বিষয়ে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মুহিউদ্দিন বলেন, স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের দেয়া খবরের ভিত্তিতে ফাঁড়ির একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং সাইনবোর্ডটি খুলে নিয়ে আসে। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ও ছবি দিয়ে দোকানের সাইনবোর্ড টানানো সেই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন বাংলাদেশ তাঁতী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কালাম আহমেদ। মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় তিনি এই জিডি করেন।