Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: শনিবার, ২ জানুয়ারী, ২০২১
সর্বশেষ সংষ্করণ 2021-01-03T03:15:26Z
সারাদেশ

ছেলের মৃত্যুর পর সড়ক দুর্ঘটনায় এক সাথে ৩ মেয়ের মৃত্যু, বাকরুদ্ধ মা

বিজ্ঞাপন

জি ভয়েস ডেস্ক: নরসিংদীর বেলাবোতে সড়ক দু’র্ঘট’নায় একসাথে তিন মেয়ের মৃ’ত্যুতে বা’করু’দ্ধ স্বামীহা’রা হোসনেয়ারা। মা’রা গেছে রুনা নামে আ’হত হওয়া তাদের খালাতো বোনও। শুক্রবার বিকেলে বেলাবো উপজেলার ঢাকা সিলেট মহাসড়কের দড়িকা’ন্দি নামকস্থানে বাস-প্রাইভেটকার মুখোমুখি সং’ঘ’র্ষে তিনবোনসহ চারজন নি’হ’ত হয়েছেন।

আ’হত হয়েছেন রুনা নামে আরও একজন। মা’রা যাওয়া তিন মেয়ের পরিবারের স্বজনরা জানায়, শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে তাদের খালাতো বোন রুনা তাদের আ’ত্মীয় প্রাইভেটকার চালক নি’হ’ত নওয়াব আলীকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়। মা’রা যাওয়া নি’হ’ত তিন বোন হলেন, খায়রুন্নাহার (৩৫), কামনা আক্তার (২৪) ও জামিয়া আক্তার তৃষা (২২)। তারা নরসিংদীর পলাশ উপজেলার চালনা এলাকার মৃ’ত বেনু মিয়ার মেয়ে। অপর নি’হ’ত প্রাইভেটকারের মালিকের নাম নওয়াব আলী (৫৪)। তিনি কুষ্টিয়ার মিরপুরের ইয়াকুব আলীর ছেলে এবং গাজীপুরের একটি কারখানার বায়িং হাউজের ব্যবস্থাপক।

দূর্ঘট’নায় আ’হ’ত রুনা বেগম শনিবার (২ জানুয়ারী) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মা’রা গেছেন বলে জানায় তাদের পরিবার। তিন মেয়ে ও দুই ছেলেকে রেখে মা’রা যান পিতা বেনু মিয়া। এরপর পরিবারের হাল ধরেন বড় ছেলে আপেল। তিনিও কাজ করতে গিয়ে ছা’দ থেকে পড়ে গিয়ে মা’রা যান আপেল। পরিবার চালানোর জন্য ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে অ’নাহা’রে অর্ধাহার দিন পার করতে থাকে পরিবারটি। কোন উপায় না পেয়ে ব্র্যাকের স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে কাজ শুরু করেন মা হোসনেয়ারা বেগম। এভাবে হোসনেয়ারা দু’র্বল হয়ে পড়লে মায়ের স্থলাভিত্তিক হয় বড় মেয়ে খায়রুন। প্রায় দুবছর কাজ করে কিছু স্ব’চ্ছলতা আসে পরিবারে। সর্বশেষ তিন/ চার মাস আগে স্বাস্হ্য সেবী হিসেবে কাজ শুরু করে যার বেতনও এখন পায়নি। এখন তাদের আয়ের আর কেউ রইল না।

নি’হ’তদের পরিবারের স্বজনরা আরও জানান, প্রাইভেটকারটিতে চালকসহ মোট ৫ জন ছিলেন। শুক্রবার বিকেল মহাসড়কের জ’ঙ্গুয়া এলাকা অতিক্রম করার সময় সিলেটগামী আল মোবারকা পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে প্রাইভেটকারটির মুখোমুখি সং’ঘ’র্ষ হয়। দু’র্ঘট’নার সময় বাসটি অতিরি’ক্ত গতিতে আরেকটি বাসকে ওভারটেক করতে গেলে নিয়ন্ত্রণ হা’রি’য়ে প্রাইভেটকারটিকে চা’পা দেয়।

এতে দুম’ড়ে মু’চড়ে যাওয়া প্রাইভেটকারটির চালকসহ ৪ যাত্রীর মৃ’ত্যু হয়। পরে ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশ ও স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাইভেটকারটি কে’টে ৪ জনের লা’শ উ’দ্ধা’র করে। ভৈরব ফায়ার সার্ভিস এর স্টেশন অফিসার রাকিব হোসেন বলেন, টহ’লে থাকাবস্থায় খবর পেয়ে এসে দেখতে পাই বাসটির ডানপাশের নীচে প্রাইভেটকারটি চা’পা প’ড়ে আছে। এসময় গাড়ি কেটে ৪ জনের লা’শ উ’দ্ধা’র ও গু’রুত’র আ’হ’ত এক নারীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নি’হ’তদের পরিবার জানান, প্রাইভেটকারে থাকা এই ৫ জন মিলে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা পাড়ের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলো। ঘোরাঘুরি শেষে ফেরার পথে বেলাব উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের জ’ঙ্গুয়া এলাকায় এই দু’র্ঘ’টনা ঘটে। ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রহমান জানান, বাসটি অতিরিক্ত গতিতে আরেকটি বাসকে ওভা’রটে’ক করতে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকারটিকে চাপা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাইভেটকারটি কেটে ৪ জনের লা’শ উ’দ্ধা’র করা হয়। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ঘা’ত’ক বাসটি আ’ট’ক করা গেছে তবে এর চাল’ক পা’লিয়ে গেছেন।


বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ