বিজ্ঞাপন
ফাহিম আহমদ: নির্বাচন মানেই প্রতিশ্রুতি। সেটা জাতীয় হোক, স্থানীয় হোক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হোক বা কোনো বাজার বণিক সমিতির হোক। নির্বাচন এলেই প্রার্থীদের কাছ থেকে নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির আশ্বাস পেয়ে থাকেন ভোটাররা। নির্বাচিত হলে অবশ্য কতটুকু প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন ঘটাতে পারেন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, তা ভোটারদের জানা আছে।
গোলাপগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনও এর ব্যতিক্রম নয়। ৪ মেয়র, ৪৭ পুরুষ কাউন্সিলর ও ১০ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর কাছ থেকে নানা উন্নয়নমূলক প্রতিশ্রুতি পাচ্ছেন পৌর এলাকার জনগণ। ৪ মেয়র প্রার্থী ঘুমহীন প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন দলীয় নেতা-কর্মী, ভোটার-সমর্থকদের সাথে নিয়ে। একবার নয়, দুইবার নয়, বার বার তারা মানুষের বাড়ি বাড়ি ছুটছেন ভোটের জন্য। দিয়ে আসছেন প্রতিশ্রুতি। ব্যতিক্রম নয় প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হওয়া ৪-৫ জন কাউন্সিলরের প্রচারও। সেই সাথে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলররাও ছুটছেন মানুষের দুয়ারে-দুয়ারে।
কিন্তু ভোটাররা বিগত দিনগুলোতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছ থেকে কতটুকু প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন পেয়েছেন তা তাদের ভালো করেই জানা আছে। এবার ভোটাররাও তাই সচেতন তাদের পছন্দের কর্মঠ, পরিচ্ছন্ন জনপ্রতিনিধি, প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন ঘটাতে পারে এমন প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে।
সরেজমিনে বেশ কয়েকজন ভোটারের সাথে কথা হলে তারা বলেন, নির্বাচন এলে প্রার্থীদের ঢল নামে। নানা বায়না ধরেন ভোটের জন্য। বিগত দিনগুলোতে এক-দুই-তিনবার করেও নির্বাচিত হয়েছেন আমাদের ভোটে। কতটুকু কাজ করেছেন আমাদের জন্য? যারা দুই-তিনবার নির্বাচিত হয়েও একটি ওয়ার্ডকে আধুনিক ওয়ার্ডে রূপান্তরিত করতে পারেননি, তারা আবারও নির্বাচিত হয়ে কী করবেন? এবার আমরা সচেতন। আমাদের মূল্যবান ভোটটি আর নষ্ট করব না।
তারা বলেন, জনপ্রতিনিধি আমরা নির্বাচিত করি। আমাদের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় তার ৩০ ভাগও বাস্তবায়ন করা হয় না। কোনো বিশেষ প্রয়োজনে বাড়ি গেলে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ঘুমে আছেন, ব্যস্ত আছেন, পরে আসবেন এসব কথা শুনতে হয়। আমাদের বিশেষ কোনো কাজে যদি আপনাকে না পেলাম, তাহলে কেন ভোট দিয়ে আপনাকে নির্বাচিত করেছি?
উল্লেখ্য, গোলাপগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মোট ২২ হাজার ৯শ ১৬ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ৬শ ৯৪ জন এবং নারী ভোটার ১১ হাজার ৩শ ১৯ জন।