বিজ্ঞাপন
ফাহিম আহমদ : হঠাৎ করে গত কয়েকদিন থেকে বাড়ছে শীত। ব্যতিক্রম নয় গোলাপগঞ্জ উপজেলাও। সপ্তাহ-খানেক থেকে রাতের শুরুতে ঘন কুয়াশায় ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিটি এলাকাজুড়ে। হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা সারা উপজেলার অভাবী মানুষজন শীত নিবারণের জন্য খড়কুটো জ্বালিয়ে অব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
দেখা গেছে, গত শীত মৌসুমের তুলনায় এবারের পুরাতন গরম কাপড়ের মূল্য তুলনামূলক বেশি হওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ। এরপরও এক বেলা খেয়ে না খেয়েও তারা ক্রয় করছেন শীতবস্ত্র।
সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা উপজেলার মানুষ যবুথবু হয়ে পড়েছেন। রাতের শেষ প্রহরে শিশির পড়ছে বৃষ্টির মতো। সন্ধ্যার শুরুতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মানুষ শীত নিবারণের জন্য আগুন পোহাতে দেখা গেছে। সারাদিন নিম্নআয়ের মানুষ জীবিকার তাগিদে কাজ শেষ করে সন্ধ্যা হলে বাড়ি ফিরে গোসল করেন।
ঠাণ্ডা কাটাতে তারা দলবেঁধে বাড়ির পাশে খড়কুটো দিয়ে আগুন পোহাতে দেখা যায়। আজির উদ্দিন নামের এক অটোরিকশার ইঞ্জিনিয়ার বলেন, সারাদিন কাজে ছিলাম। সন্ধ্যার পর বাড়িতে এসে গোসল করে আগুন পোহাচ্ছি।
সরেজমিন শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার পৌর সদরের চৌমুহনীর বেশ কয়েকটি পুরাতন কাপড়ের দোকান ঘুরে দেখা যায়, মধ্যবিত্ত-নিম্ন বিত্ত ও সাধারণ মানুষ ঠাণ্ডার গরম কাপড় কিনতে ভিড় করেছেন প্রতিটি দোকানে।
পুরাতন শীতবস্ত্রের দোকানে গরম কাপড় ক্রয় করতে আসা অটোরিকশা চালক জাবেদ আহমদ বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে আমাদের অবস্থা একেবারেই নাকাল। আয়-রোজগার নেই। পরিবার নিয়ে বিপাকে। এর মধ্যে শীত এসেছে। গরম কাপড়ের অভাব। তাই এসেছি ছেলে-মেয়েদের জন্য সাধ্যমত শীতের কাপড় ক্রয় করার জন্য।
রাজমিস্ত্রি রাসেল আহমদ বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষ আমরা। বেশি দামে কাপড় কিনার সাধ্য নেই। গত বছরের তুলনায় এবার কাপড়ের দাম কিছুটা বেশি। তিনি বলেন, জ্যাকেট বা সোয়েটার ২শ টাকার কাছাকাছি, পাতলা কম্বল ২০০- ৩০০ টাকা পর্যন্ত।
পুরাতন গরম কাপড় ব্যবসায়ী রাসেল আহমদ বলেন, প্রতিবছর শীত আসলে আমাদের ভাল ব্যবসা হয়। এ বছরও আশা করছি ব্যবসা হবে। আমরা গরীব মানুষের কথা মাথায় রেখে এসকল পুরাতন গরম কাপড় বিক্রি করি।
আরেক ব্যবসায়ী জমির মিয়া বলেন, সপ্তাহ-খানেক থেকে প্রচণ্ড শীত পড়ছে। ক্রেতারা দোকানে এসে ভিড় করছেন। গরম কাপড় ক্রয় করছেন। তবে করোনার কারণে এবার কাপড়ের দাম একটু বেশি।