বিজ্ঞাপন
জি ভয়েস ডেস্ক: সিলেট সদর উপজেলার টুকের বাজারে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে লাগা অগ্নিকান্ডের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ শাহেদ মো. ফকির (৩৫) মারা গেছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে তিনি সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি স্থানীয় টুকের গাঁওয়ের বাসিন্দা ও তিনি টং দোকানী ব্যবসা করছেন। শাহিদের ৩ মেয়ে ও ৭ বছরের এক ছেলে রয়েছে।
টুকের গাঁওয়ের বাসিন্দা মহি উদ্দীন জানান, টুকের বাজারের ব্রীজের কাজ চলছে। সেখানে এক্সলেটর দিয়ে মাটি খোঁড়া হয়। স্থানীয়রা গ্যাস লাইন থাকার কথা জানিয়েছিলেন নির্মাণ কাজে থাকা সংশ্লিষ্টদের। কিন্তু তারা সেটিকে গুরুত্ব না দিয়ে মাটি খোঁড়তে গিয়ে গ্যাস লাইনের ক্ষতিসাধন করার কারণে গ্যাস বের হতে থাকে। পরবর্তীতে গ্যাস অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। মোটা অংকের টাকাও দাবি করেছিলো। তা না পেয়ে তারা লিকেজ বন্ধ করেনি। যে কারণে পরবর্তীতে কেউ হয়তো সিগারেট ফেলেছে, আর তা থেকে আগুণের সুত্রপাত হয়েছে।
তিনি জানান- ফকির অত্যন্ত দরিদ্র একজন মানুষ। টং দোকানও নিয়মিত চালাতে পারতেন না। বিবাহযোগ্য একটি মেয়ে রয়েছে তার। আমরা এর ক্ষতিপূরণ দাবি করছি। কারণ, শাহেদই একমাত্র রোজগারি ছিলেন। ৩ মেয়ে, ছোট একটি ছেলে আজ অসহায়। দুর্ঘটনার পরে তার চিকিৎসার ব্যাপারেও কোন সহায়তা করা হয়নি।
উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে টুকেরবাজার ব্রিজ সংলগ্ন থেয়াঘাটের পাশে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ব্রীজের পাশে থাকা টং দোকানেও মুহূর্তে আগুন লেগে যায়। টং দোকানী শাহেদ মো. ফকির অগ্নিদগ্ধ হন। পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আশপাশে কোন বাড়িঘর না থাকায় সেসময় বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা হলেও একমাত্র অগ্নিদগ্ধ টং দোকানী শাহেদ আজ ভোরে মঙ্গলবার মারা যান।