বিজ্ঞাপন
ফাহিম আহমদ: নানা জটিলতায় প্রায় ১ যুগেরও বেশি সময় থেকে একটি গ্রামের হাজারো মানুষের যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন প্রায় ১ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ হচ্ছে না। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে একটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে। গোলাপগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নের সুন্দিশাইল গ্রামের প্রদান সড়কটি দিয়ে যাতায়াতকারী স্থানীয়দের দুর্ভোগ এত বছর পরও শেষ হচ্ছে না।
এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষকে যাতায়াত করতে হয় প্রয়োজনের তাগিদে। প্রতিদিন শতাধিক গাড়ি এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। সড়কের যে বেহাল অবস্থা অনেকটা হেলেদুলে চলতে হয়। গাড়ি দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে। একটি মাত্র সড়ক হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় যাত্রীদের। প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক জুড়ে ছোট-বড় গর্তে ভরপুর। বর্ষা মৌসুমে গর্তে পানি থাকায় অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। শীত মৌসুমে ধুলো উড়ে মানুষের চোখ-মুখ-নাক বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে একাত্তরের ২৫ ও ২৬ অক্টোবর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান ২৩ জন নিরীহ মানুষ। তাদের স্মরণে ১৯৭৮ সালে এ গ্রামে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। রয়েছে ৪-৫ টি মসজিদ, ১টি প্রাইমারী স্কুল, রয়েছে সৈয়দ মকবুল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজসহ মাদ্রাসা। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পড়ালেখা করা কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। এ গ্রামের ভিতর দিয়ে বয়ে গেছে ভেটু খাল। যে খাল থেকে এ গ্রামের অসহায় মানুষ মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। রয়েছে চারিদিকে বড় ফসলি জমি। যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায় এগুলো ভাল দামে বিক্রি করতে অসুবিধা পুহাতে হয় তাদের।
সরেজমিন গত মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) সুন্দিশাইল গ্রামের এ সড়ক ঘুরে দেখা যায়, প্রায় পুরো সড়কে ছোট-বড় খানাখন্দে ভরপুর। শীত মৌসুম হওয়ায় সড়কে ধুলো উড়ে মানুষের চোখ-মুখ-নাক দিয়ে ঢুকছে।
স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১ যুগেরও বেশি সময় থেকে সড়কের অবস্থা বেহাল। সংস্কারের অভাবে দিন দিন ভাঙা বাড়তে আছে। তারা জানান, সড়কটি সংস্কার হচ্ছে হচ্ছে আজ কয়েক বছর থেকে শুনে আসছি। তবে বাস্তব হচ্ছে না।
স্থানীয় অটোরিকশা চালক যুবক আব্দুল্লাহ অনেকটা আক্ষেপ করে বলেন, রাস্তাটি বোধহয় আর হবে না। সব সময় গাড়িতে কাজ করাতে হয়। গর্তে পড়ে গাড়ির অনেক কিছু ভেঙে যায়।
সরওয়ার হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, এ সড়ক দিয়ে গাড়িতে না চড়ে হেঁটে যাওয়া ভাল। আমি অনেক সময় গাড়িতে না গিয়ে কষ্ট করে হেঁটে যাই।
বয়োবৃদ্ধ কমর উদ্দিন, আব্দুল বাতেন বলেন, অনেক বছর থেকে সড়কের এ অবস্থা। সবকিছু ধীরে ধীরে কাজ হচ্ছে। কিন্তু এ সড়কের কাজ কবে হবে জানা নাই।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান বলেন, সড়কটি সংস্কারের টেন্ডার এসেছে। চলতি মাসের শেষ দিকে সড়কের সংস্কার কাজ শুর হতে পারে।