বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে জলাশয়ে বাঁধ দেয়া নিয়ে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যানসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলার কামালখানী ও মজলিশপুর গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অন্তত ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ১৮ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, কানিভাঙ্গা নামে একটি পঞ্চায়েতি জলাশয়ে বাঁধ দিয়েছিল কামালখানী গ্রামের বাসিন্দারা। শুক্রবার পার্শ্ববর্তী মজলিশপুর গ্রামের লোকজন বাঁধটি ভেঙে ফেলে। বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে মজলিশপুরের লোকজন কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। তখন তাদের ওই এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয় প্রতিপক্ষ।
এরপর মজলিশপুরের লোকজন মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাদের লোকজনকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাঁধ এলাকায় যাওয়ার আহ্বান জানায়। খবর পেয়ে কামালখানী গ্রামের লোকজনও মাইকে তাদের লোকজনকে আহ্বান জানায়। দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হলে দেখা দেয় চরম উত্তেজনা। একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। থেমে থেমে কয়েক দফায় হামলা-পাল্টা হামলা চলে।
খবর পেয়ে বানিয়াচংয়ের ইউএনও মাসুদ রানা, এডিশনাল এসপি (বানিয়াচং সার্কেল) শেখ মো. সেলিম স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং বিপুলসংখ্যক পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। তাদের দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আসে।