বিজ্ঞাপন
স্টাফ রিপোর্ট : গোলাপগঞ্জে শামিল আহমদ (৫০) নামের এক শ্বশুরের বিরুদ্ধে গৃহবধুকে ধর্ষণের চেষ্টা ও স্বর্নালংকার লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে গৃহবধুর শ্বাশুড়ি, স্বামী সহ ৩জনকে গ্রেফতার করেছে এবং গৃহবধুকে উদ্ধার করে। তবে মূল অভিযুক্ত শামিল হোসেন পালিয়ে গেছে বলে পুলিশ জানায়।
বুধবার রাতে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের হাজীপুর লরিফর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। গ্রেফতারকৃতরা হলো হাজীপুর লরিফর গ্রামের শামিল আহমদের স্ত্রী রানু বেগম (৪৫), পুত্র মেহেদী হাসান সাব্বির(২২) ও একই গ্রামের খবির মিয়ার পুত্র অনু মিয়া(২৫)। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা (মামলা নং-২১, তারিখ-১৯/১১/২০২০ খ্রিঃ) দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে ফুলবাড়ি ইউনিয়নের হাজীপুর লরিফর গ্রামে শ্বশুর কর্তৃক গৃহবধুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ও মারধর করে স্বর্নালংকার চেষ্টা করে। আর এসব কাজে সহযোগিতা করে ওই শ্বাশুড়ি গৃহবধুর স্বামী।
তাৎক্ষণিক রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ খবর পেলে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরীর নির্দেশে এসআই আশীষ চন্দ্র তালুকদারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করে।
এসময় গৃহবধুর স্বামী, শ্বাশুড়ি সহ ৩জনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন। তবে পুলিশ আসার খবর পেয়ে প্রধান অভিযুক্ত শ্বশুর শামিল আহমদ পালিয়ে যায়। এসময় চুরি হওয়া ১টি স্বর্ণের গলার চেইন, ১টি স্বর্ণের হার, ৩জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, ২টি স্বর্ণের নাকফুল ও ১জোড়া রুপার নূপুর উদ্ধার করা হয়।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী ৩জন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীদের বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত শামিল হোসেনকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।