বিজ্ঞাপন
জি ভয়েস ডেস্ক:: সিলেট বিদ্যুৎহীন হয়ে অন্ধকারে ঠিক কতদিন থাকবে তা বলতে পারছেন কেউ। কুমা'রগাঁওয়ে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানী (পিজিসিবি)-এর নিয়ন্ত্রনাধিন গ্রিড লাইনে আ'গুনের জন্য বিদ্যুৎ অন্ধকারে পুরাে সিলেট। অন্ধকার কা'টাতে মানুষজন ভিড় জমাচ্ছেন মােমবাতি ক্রয় করতে। কিন্তু মােমবাতিরও দাম হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। কোথাও কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।
টিলাগড়ের ব্যবসায়ী ফনা তালুকদার
জানান, দুদিন আগেই দীপাবলীতে প্রায় সব
মােমবাতি বিক্রি করে ফেলেছেন। এখন বিদ্যুৎ না থাকায় ক্রেতারা মােমবাতি কিনতে আসছেন।
সিলেট শহর ঘুরে দেখা যায়, পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে প্রায় সব দোকানে মােমবাতি কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। কেউ কেউ প্রয়ােজনের তুলনায় বাড়তি নিতে চাইছেন, কিন্তু বাজারে পর্যাপ্ত মজুদ নাই অজুহাতে দাম বেশি রাখছেন কেউ কেউ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বন্দরবাজার- শেখঘাট এলাকায় ৫ টাকার মােমবাতি বিক্রি
হচ্ছে ১০ থেকে ১২ টাকা। ১০টাকার মােমবাতি বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা। অর্থাৎ দিগুন তিনগুন করে বিক্রি করা হচ্ছে মােমবাতি। তবুও কেউ কেউ অভিযােগ করছেন অনেক দোকানে। মােমবাতি পাওয়া যায় না।
মানুষজন বিশেষ প্রয়ােজন ছাড়া মােমবাতি ক্রয় করে না। তাই অনেক ব্যবসায়ীরা মােমবাতি দোকানে রাখেন না, রাখলেও খুব কম। কিন্তু আজকে সিলেটে বিদ্যুৎ লাইনে আগুন লেগে অনিশ্চিত হয়ে গেছে বিদ্যুৎ আসার ক্ষণ। তাই অন্ধকার ও ঘরের কার্য সম্পন্ন করতে আলাে দরকার। আলাের বিকল্প হিসেবে রয়েছে মােমবাতি, চার্জে লাইট। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় চার্জের লাইটের চাহিদা নাই বললেই চলে। তাই হুমড়ি খেয়ে মানুষজন ভিড় করছেন মােমবাতি ক্রয় করতে। চড়া দাম হলেও প্রয়ােজনে ক্রয় করতে হচ্ছে বলে জানান শেখঘাটের একজন ক্রেতা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সিলেটের কুমা'রগাওয়ে অবস্থিত জাতীয় গ্রিড লাইনের দুটি ট্রান্সমিটারে আ'গুন লেগে যায়। ফায়ার ব্রিগেডের ৫টি ইউনিট প্রায় দেড়ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আ'গুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। এই ভ'য়াবহ আ'গুন লাগায় সিলেটে সকাল ১১ টা থেকে গ্রাহকরা বিদ্যুৎহীন অবস্থায়
আছেন। আ'গুনের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার বিষয়টি নগরবাসীকে জানাতে দুপুর ২ টা থেকে নগরীতে মাইকিং করানাে হচ্ছে। কিন্তু কখন আবার বিদ্যুৎ সংযােগ পাওয়া যাবে সেটা জানানাে হচ্ছে না।
সিলেটের জে'লা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম জানান, আ'গুন এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে এখন পর্যন্ত পুরাে সিলেট জে'লা বিদ্যুৎহীন আছে। পিডিবি ও পল্লীবিদ্যুতের সব গ্রাহকরাই বিদ্যুৎহীন। বিদ্যুৎ সরবরাহ কখন শুরু হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ফলে পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎহীনতার কারণটি জনগনকে জানাতে মাইকিং করানাে হচ্ছে। এক্ষেত্রে সিটি করপােরেশনেরও সহযােগিতা নেওয়া হচ্ছে।