বিজ্ঞাপন
গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি:: সিলেটের গোলাপগঞ্জে অটোরিকশা/ অটোটেম্পু শ্রমিক জোট উপ-পরিষদের বিগত গত ৩ বছরে মনগড়া, মিথ্যা ও বানোয়াট হিসাবের অভিযোগ করেছেন উপ-পরিষদের প্রায় ৯ শতাধিক শ্রমিক। শ্রমিকেরা উপ-পরিষদের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সিলেট অটোরিকশা/অটোটেম্পু সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখিত অভিযুক্তরা হলেন, উপ-পরিষদের সাবেক সভাপতি মাখন মিয়া, সহ-সভাপতি বেলাল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন পুতুল, কোষাধ্যক্ষ ফজল আলী, সদস্য আহমদ আলী, সাহেল আহমদ, আব্দুল আহাদ ও আলাই মিয়া।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৩০ আগস্ট জেলা কমিটির উপস্থিতিতে উপ-পরিষদের গত ৩ বছরের আয়ের হিসাব উপস্থাপন করা হয়। এ সময় তারা সকলের উপস্থিতিতে ৩৪ লাখ ১৪ হাজার টাকার আয়ের হিসাব উপস্থাপন করেন। এই হিসাব উপস্থিত অভিযোগকারী শ্রমিকদের কাছে মনগড়া, মিথ্যা ও বানোয়াট মনে হয়। হিসাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তারা জেলা বরাবরে একটি অভিযোগ করেন।
তারা অভিযোগে উল্লেখ করেন, গোলাপগঞ্জ উপ-পরিষদে দৈনিক কন্ট্রাক্টকৃত আয় ৪ হাজার টাকা করে ৩০ দিনে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা আর ১ বছরে ১৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। গত ৩ বছরে ৪৩ লাখ ২০ হাজার টাকা অডিট বাবদ আয়। সাধারণ সদস্যদের হিসাবে ৪শ’র বেশি গাড়ি ভর্তি করা হয়েছে। প্রতি গাড়ি ভর্তি বাবত ৫ হাজার টাকা করে আয় ২০ লাখ টাকা। সদস্য ভর্তি বাবদ আয়, সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর অনুদান ও শাখার বিভিন্ন বিবিধ আয় হিসাবে সংযুক্ত না করেও সর্বমোট আয় দাঁড়ায় ৬৩ লাখ ২০ হাজার টাকা।
তারা বলেন, আমাদের ঘাম ঝরানো টাকা এভাবে বিলীন হয়ে যাবে, তা আমরা কখনও মেনে নিতে পারি না। তারা অতিসত্ত্বর উপ-পরিষদের সাধারণ শ্রমিক থেকে ৩ জন ও জেলা পরিষদ হতে ২ জনসহ মোট ৫ জনকে দিয়ে হিসাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য অনুরোধ জানান।
সাধারণ শ্রমিক শিবলুর রহমান বিরু বলেন, ‘এ বিষয়ে জেলার পক্ষ থেকে উপরোক্ত অভিযোগের উপর কোনো ধরণের সন্তোষজনক উত্তর পাওয়া যায়নি। বরং তারা (অভিযুক্তরা) আমাদের সাধারণ শ্রমিকদের হুমকি ও মামলার ভয় দেখাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে সিলেট আঞ্চলিক শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌর মেয়র, গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), অটোরিকশা/অটোটেম্পু গোলাপগঞ্জ শাখার আহ্বায়ক ও গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতি বরাবরে অভিযোগের একটি অনুলিপিও প্রদান করেছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা অটোরিকশা/অটোটেম্পু সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’