বিজ্ঞাপন
জিভয়েজ২৪ ডেস্ক: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর ভারী বর্ষণে ফের বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে সিলেটের সীমান্ত জনপদ গোয়াইনঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চল। অপর দিকে সড়ক পথে চলাচলরত যাত্রী সাধারণের দূর্ভোগের অন্ত নেই। কয়েক দিনের টানা ভারি বর্ষণ হওয়ায় ঢলের পানি বেড়ে গোয়াইনঘাটের সিংহভাগ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে বিভিন্ন সড়ক ডুবে গেছে। যার কারণে সড়কপথে সিলেট জেলা শহরের সঙ্গে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরের যোগাযোগ ব্যাবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানি জাফলং এলাকার পিয়াইন নদী এবং সারি নদী দিয়ে এলাকায় ঢুকছে। এতে উপজেলার পূর্ব জাফলং, আলীরগাঁও, রুস্তমপুর, লেঙ্গুড়া, তোয়াকুল, নন্দীরগাঁও ও পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। যার কারণে উপজেলা সদরের সঙ্গে জেলা শহরে যাতায়াতের দুটি সড়ক সারী-গোয়াইনঘাট ও সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়ক প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলায় যাতায়াতের প্রধান দুই সড়কের কিছু অংশে পানি ওঠে। পানি বাড়তে থাকায় শুক্রবার সকাল থেকে এসব সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, টানা কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টি হওয়ায় শুক্রবার সকাল থেকে জাফলংয়ের পিয়াইন নদী ও সারি নদী দিয়ে সীমান্তের ওপার থেকে পাহাড়ি ঢল নামা শুরু হয়। অপর দিকে সারী নদীর পানি বিপথসীমার উপর দিয়ে বেড়ে যাওয়ার কারণে সকাল ৯টার দিকে সারী-গোয়াইনঘাট সড়কের অন্তত ছয়টি স্থানে পানি উঠেছে। এতে সড়ক দিয়ে কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করছে না। সড়কসহ আশপাশ এলাকা পরিদর্শন করে
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুস সাকিব জানান, বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পুরো উপজেলার অবশিষ্টাংশ বন্যা কবলিত হয়ে পড়বে। পানি উঠে সড়কের যেসব স্থানে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে সেখানে নৌকা যোগে মানুষ যাতায়াত করছে। অপরদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে উপজেলার সবকটি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বন্যায় ক্ষতি গ্রস্তদের মাঝে ত্রান সহয়তা প্রদানের লক্ষ্য গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন এখন থেকে তৎপর রয়েছে বলে তিনি জানান।
এবিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সুলতান আলী জানান, বৃহস্পতিবার থেকে বন্যার পানি ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পাওয়ায় গোটা উপজেলায় সদ্য রূপায়িত আমন ধান ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
অসময়ে বন্যা হওয়ায় উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় কৃষকের পাকা আউশধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও বন্যার পানি না কমে যাওয়া পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অনবরত বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকায় বন্যার পানি ব্যাপক বৃদ্ধি পাচ্ছে।