বিজ্ঞাপন
জিভয়েজ২৪ ডেস্ক: সিলেটের এমসি কলেজের হোস্টেলে গণধর্ষণের ঘটনায় দুই নিরাপত্তাকর্মীকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়।
বরখাস্তকৃতরা হলেন- রাসেল মিয়া ও সবুজ আহমদ। তারা সকলেই মাস্টার রোলে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন। এছাড়া ওই মামলার আসামি মাহফুজুর রহমানের সিট বাতিল করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এমসি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সালেহ আহমদ। তিনি জানান, গতকালের ধর্ষণের ঘটনায় নিরাপত্তাকর্মীদের গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ কারণে তাদেরকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া মাহফুজুর রহমান অভিযুক্ত হওয়ায় তার সিট বাতিল করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকেও স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেট এমসি কলেজের হোস্টেলে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করেন মহানগর ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। অভিযুক্ত এসব কর্মী সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রণজিৎ সরকারের অনুসারী বলে জানা গেছে।
এদিকে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে এসএমপির শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিত ওই তরুণীর স্বামী মাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর, শাহ রনি, অর্জুন, মাহফুজ, রবিউল ও তারেক।
এর আগে শুক্রবার রাতে সিলেট এমসি কলেজের হোস্টেলে তরুণীকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুরের রুম থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় শনিবার সকালে মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ বাদী হয়ে সাইফুরকে আসামি করে অস্ত্র আইনে ওই মামলা দায়ের করে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরান (রহ.) থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে হোস্টেলে অভিযান চালিয়ে দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করে। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, ৪টি রামদা ও ২টি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়।