বিজ্ঞাপন
করোনার ভয়াবহতার মধ্যেই শুক্রবার রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সামনে ভিড় করছিলেন নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ মুসল্লিদের স্বজনরা। তাদের কেউ চিৎকার করে কাঁদছিলেন। কেউ আবার নীরবে অশ্রু বিসর্জন দিচ্ছিলেন। অনেকেই হাসপাতালের ভেতরে দগ্ধ স্বজনের কাছে যেতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের কাছে আকুতি জানাচ্ছিলেন। তবে দগ্ধদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার স্বার্থে কাউকেই ভেতরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছিল না।
কান্নারত দগ্ধদের স্বজন রওশন আরা জানান, মসজিদে এশার নামাজ পড়তে গিয়ে তার দুই জামাতা ইমাম হোসেন ও আমজাদ হোসেন দগ্ধ হয়েছেন। তারা পেশায় গার্মেন্টকর্মী। নারায়ণগঞ্জের খানপুর সরদারপাড়া এলাকায় তাদের বাসা।
আরেক স্বন রুবেল হোসেন জানান, তার ভাই ভ্যানচালক মিজানুর রহমানকে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে শুনে ছুটে এসেছেন। তবে ভাইয়ের কী অবস্থা তা জানতে পারেননি।
এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) এশার নামাজ শেষে মোনাজাত চলাকালে মসজিদের এসি বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এ সময় মসজিদে প্রায় ৫০-৬০ মুসল্লি ছিল। বিস্ফোরণের পর হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার সময় অনেককেই বস্ত্রহীন এবং শরীর ঝলছে যাওয়া অবস্থায় দেখা গেছে। অনেককেই কান্নাকাটি করতে করতে বের হতে দেখা যায়। মসজিদের ফ্লোর রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা যায়।
শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া জানান, নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় এ পর্যন্ত দগ্ধ ৩৭ জন ভর্তি হয়েছেন। তাদের সবার মাথা থেকে পা পর্যন্ত দগ্ধ।
সূত্র : জাগো নিউজ