বিজ্ঞাপন
গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি: গোলাপগঞ্জে এক কাজী (নিকাহ রেজিষ্টার) এবং তাঁর অফিস সহকারীর কাছে চাঁদা দাবি করে না পেয়ে হুমকি ও হয়রানীর করার অভিযাগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শাহেদ খান হিলালী গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
থানায় দায়ের করা জিডি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত নিকাহ রেজিষ্টার ও কাজী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন মাজেদ খান হিলালী ও অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত রয়েছে শাহেদ খান হিলালী। তাদের পিতা আব্দুল খালিক খান হিলালী ১৯৭৯ থেকে ২০১৫সাল পর্যন্ত এ অফিসে নিকাহ রেজিষ্টার ও কাজী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পিতার মৃত্যুর পর তার পুত্র মাজেদ খান হিলালী ভারপ্রাপ্ত কাজী ও নিকাহ রেজিষ্টার হিসেবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতিতে তিনি কর্মরত রয়েছেন।
উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামের মৃত ফারুক আলীর ছেলে সুমন আহমদ সুজা প্রায় সময় তাদের কাছে টাকা দাবি করে আসছিল। এসময় তারা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে তাদেরকে ফেসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদ প্রচার করবে বলে হুমকি দেয়।
এরপর ভারপ্রাপ্ত কাজী ও নিকাহ রেজিষ্টার মাজেদ খান হিলালী ২৩আগষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছে একটি অভিযোগ করেন। পাশাপাশি তাদের চাকুরীর সকল বৈধ কাগজপত্র দাখিল করেন। দরখাস্তের পর ৩ সেপ্টেম্ভর জেলা রেজিষ্টারকে বিষয়টি যাছাই বাছাই করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, সুমন আহমদ সুজা একজন চিহ্নিত অপরাধী। সে সম্প্রতি ইয়াবা ট্যাবলেট সহ বিয়ানীবাজারে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। এ ছাড়া সে একাধিক মামলার আসামী।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।