বিজ্ঞাপন
গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি: গোলাপগঞ্জের বাঘায় 'সালাম মকবুল উচ্চ বিদ্যালয়ে'র প্রধান শিক্ষক বাবু কৃপাময় চন্দ্র চন্দের বিরুদ্বে মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে একটি মহল। এই মহলটি সামাজিক গণমাধ্যম ও কয়েকটি অনলাইনে পোর্টালে এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যালয়টির সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করায় বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃপাময় চন্দ্র চন্দের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে যা খুব দুঃখজনক। তারা সংবাদে বলেছে যে, সালাম মকবুল বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিক আফসানা বেগমকে এমপিওভুক্ত করতে আমি (প্রধান শিক্ষক) টালবাহানা করেছেন এবং প্রধান শিক্ষকের কারণেই আফসানা বেগম এমপিওভুক্ত হননি যা সম্পুর্ণ মিথ্যা।
তিনি বলেন, বিদ্যালয়টি জুনিয়র এমপিওভুক্ত থাকাকালীন সময়ে ২০১০ সালে আফসানা বেগমকে সরকারি বিধিমোতাবেক সমাজবিজ্ঞান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয় এবং তাকে শর্ত দেওয়া হয় বিদ্যালয়টি সিনিয়র এমপিওভুক্ত হলে তাকেও এমপিওভুক্ত করা হবে। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে বিদ্যালয়টি সিনিয়র এমপিওভুক্ত হয়।
কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল, ২০১৮ সালের এম্পিও নীতিমালা পরিবর্তন হয়ে যাওয়ায় সমাজবিজ্ঞান পদে মাত্র একটি পোস্ট থাকায় তাকে উক্ত পদে এমপিওভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। কেননা উক্ত পদে আগে থেকেই একজন এমপিওভুক্ত ছিলেন । ২০১৮ সালের এমপিও নীতিমালা পরিবর্তনের কারণে শুধু শিক্ষক আফসানা বেগম শুধু নয় দেশের অসংখ্য স্কুলের শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হতে পারেন নি।
তিনি বলেন, সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০১৪ সালে আবুল হোসেনের জায়গায় উনাকে এমপিওভুক্ত করতে প্রধান শিক্ষক ছলছাতুরীর আশ্রয় নিয়েছেন। যা মিথ্যা ডাহামিথ্যে।
তিনি বলেন, বিদ্যালয়টি জুনিয়র এমপিওভুক্ত থাকাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক ওয়াজির আহমদ সুবেল স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য যুক্তরাজ্যে গমণ করায় এই পদটি শূন্য হয়ে যায়। তখন শুন্য পদ পূরণ করতে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয় এবং ঐ শুন্যপদেই আবুল হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্রধান শিক্ষক আরো জানান, আফসানা বেগম যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএড সনদ গ্রহণ করেছেন সেটা দিয়েও ২০১২ সালের পর থেকে শিক্ষক নিয়োগে জটিলতা দেখা দিয়েছে। আফসানা বেগম দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএড সার্টিফিকেট গ্রহণ করেছেন যেটা তখনকার সময় সার্টিফিকেট বাণিজ্যের কারণে সরকার অবৈধ ঘোষণা করেছিল। প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, তার বিরুদ্বে বিভিন্ন সময় শিক্ষক নিয়োগে উৎকোচ নেওয়ার যে অপবাদ দেওয়া হয়েছে তা যদি কেউ প্রমাণ করে দিতে পারেন তাহলে তাকে তিনি পুরস্কৃত করবেন।
উল্লেখ্য, সালাম মকবুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু কৃপাময় চন্দ্র চন্দ সৎ ও নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালন করায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ -২০১৮তে গোলাপগঞ্জ উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছিলেন।