Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০
সর্বশেষ সংষ্করণ 2020-09-03T07:34:35Z
গোলাপগঞ্জ

গোলাপগঞ্জে করোনা: ৪ মাসে আক্রান্ত ২৭৮, মৃত্যু ১১ জন

বিজ্ঞাপন



ফাহিম আহমদ, গোলাপগঞ্জঃ সিলেটের গোলাপগঞ্জে করোনাভাইরাসে সন্দেহভাজন রোগীদের নমুনা সংগ্রহ কমেছে। একই সাথে কমেছে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যাও। এছাড়াও শনাক্ত কমার সাথে সাথে কমেছে মানুষের মধ্যে সচেতনতাও।

গেলো ২ মে উপজেলায় প্রথম রোগী শনাক্ত হলেও বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত চার মাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২৭৮ জন। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২২২ জন আর মারা গেছেন ১০ জন। এ চার মাসে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে মে ও জুন মাসে। এ দুই মাসে উপজেলায় নমুনা সংগ্রহও বেড়েছিল। এরপর জুলাই মাস থেকে নমুনা সংগ্রহ কমে যায়। কমে যায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যাও।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, জুলাই মাসে উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ২৯৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর পরের মাস অর্থাৎ আগস্ট মাসে কমেছে নমুনা সংগ্রহ। এ মাসে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মাত্র ১৫৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

অথচ এর আগের দুই মাস অর্থাৎ মে ও জুন মাসে ১২০৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেই হিসেবে মে ও জুন মাসে গড়ে ৬০২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। আর দিনের হিসেবে প্রথম ৬০ দিনে গড়ে দৈনিক ২০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হতো। অথচ শেষের ৬০ দিনে গড়ে মাত্র ৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

তবে কোনোভাবেই নমুনা সংগ্রহ কমিয়ে দেয়া যাবে না বলছেন উপজেলার নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা বলছেন, নমুনা পরীক্ষা কমে যাওয়ার লক্ষণও ভালো নয়। এতে উপসর্গ নিয়ে কোভিড আক্রান্ত লোকজনের বিচরণ জনবহুল এলাকায় আরও বেড়ে যাবে। তাতে সংক্রমণও বাড়বে। এটা আর বাড়তে দেওয়া উচিত হবে না।

আর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, প্রথম টাকা ছাড়া নমুনা সংগ্রহ করা হতো। এখন টাকা দিয়ে নমুনা সংগ্রহ করার ফলে মানুষ নমুনা পরীক্ষা না করানোর ফলে নমুনা সংগ্রহ কম হচ্ছে। এছাড়া আমরা আগে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করতাম। যাতে মানুষ আক্রান্ত কি-না সেটি জানতে পারি। কেও না করালেও তাকে বলে নমুনা সংগ্রহ করতাম। সরকার টাকা দিয়ে নমুনা পরীক্ষা করানোর পর থেকে আমাদের এখানে এখতিয়ার মত নমুনা সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। যে কারণে প্রতি মাসে নমুনা কম সংগ্রহ হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ