বিজ্ঞাপন
ফাহিম আহমদ:: আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ করেই সোমবার ভারত সরকার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দেয়। দিনভর দেশের তিনটি প্রধান স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসেনি। পরে রাতে ভারত সরকারের রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা দেশটির আমদানিকারকদের হাতে আসে।
এদিকে পেঁয়াজ বন্ধ হওয়ার পর থেকে দেশের বাজারে হু হু করে বাড়তে শুরু করে পেঁয়াজের দাম। গোলাপগঞ্জের বাজারেও তার ব্যতিক্রম নয়। কেজি প্রতি বেড়েছে ২০-থেকে ২৫ টাকা করে। আর এতে করে নিশ্চিত সেঞ্চুরির পথে এগোচ্ছে পেঁয়াজের দাম। সেই সাথে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সোমবার সকাল পর্যন্ত দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৫৫ টাকায়। তা পেঁয়াজ বন্ধ ঘোষণা হওয়ার পর ২০-২৫ টাকা বেড়ে ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর একই বাজারে ৪৮ টাকা কেজির ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়।
বেশ কয়েকজন বিক্রেতার সাথে কথা হলে তারা জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা বন্ধ। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে না তাই দাম বেড়েছে।
জুয়েল আহমদ নামে একজন ক্রেতা এসেছেন পেঁয়াজ কিনতে। তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে। তাই আগে ভাগেই ১০ কেজি পেঁয়াজ কিনে রাখলাম।
খুচরা ব্যবসায়ী এমরান আহমদ জানান, পেঁয়াজের দাম বাড়ার সাথে আমাদের কোন হাত নেই। যেহেতু ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে। এজন্য দাম বেড়েছে।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এরপর অস্থির হয়ে ওঠে দেশের পেঁয়াজের বাজার। এতে বাজারে হুহু করে বাড়তে শুরু করে দাম। দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামে ট্রিপল সেঞ্চুরি করে। এবছরও ঠিক সেপ্টেম্বর মাসে আবারও পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলো ভারত।