Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০২০
সর্বশেষ সংষ্করণ 2020-08-25T14:45:43Z
গোলাপগঞ্জ

গোলাপগঞ্জে রাস্তাটি যেন এখন খড়ের দখলে, ভোগান্তিতে জনসাধারণ

বিজ্ঞাপন

ফাহিম আহমদ : গোলাপগঞ্জ উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে আউশ ধান কাটার হিড়িক। বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটা শেষ পর্যায়ে এসেছে। এরই মধ্যে আউশ ধানের মৌসুমে হিড়িক পড়ে খড় শুকানো কৃষকদের। বিভিন্ন এলাকায় পিঁচঢালা রাস্তাগুলো খড় শুকানোর জন্য বেছে নেয় কৃষকরা। 

রাস্তায় খড় শুকানোর কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয় ছোট বড় যানবহনসহ পথচারীদের। রাস্তা জুড়ে ছোট-বড় গর্ত থাকায় অনেক সময় ঘটে যায় ছোট-বড় দূর্ঘটনা।

মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে প্রখর রোদের মধ্যে খড় শুকাতে দেখা যায় উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের মোকাম বাজার থেকে কোনাচর বাজার পর্যন্ত ৩ টি ওয়ার্ড জুড়ে জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তায়। প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে ছোট-বড় গর্ত। এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা অচেনা মানুষদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। রাস্তাটি যেন এখন খড়ের দখলে।

এদিকে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা বিশেষ করে সিএজি, অটোবাইক, রিক্সা-ভ্যান, সাইকেল, মোটরসাইকেল চালকসহ যাত্রীদের আতঙ্কে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বাইসাইকেল-মোটরসাইকেল খড়ে পিঁছলে দুর্ঘটনা ঘটছে। 

সিএনজি চালক সুজন আহমদ বলেন, রাস্তাটি ছোট। এরমধ্যে রাস্তাজুড়ে ছোট-বড় গর্ত রয়েছে। গর্ত না দেখার কারণে অনেক অসুবিধা হয়। আস্তে আস্তে গাড়ি চালাতে হয়। বলা যায় না কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। রাস্তা ছোট হওয়ার কারণে এক গাড়ি আরেক গাড়িকে সাইড দিতে পারে না। 


মোটরসাইকেল আরোহী সাইদুল ইসলাম বলেন, এ রাস্তা দিয়ে সব সময় যাতায়াত করা হয় না। আজকে প্রথম এই রাস্তা দিয়ে এসেছি। খড়ের কারণে গাড়ি চালাতে ভয় হচ্ছে। হঠাৎ গর্তে গাড়ি পড়ে যায়। রাস্তায় খড় শুকানো কতটা যুক্তিসঙ্গত আমার বুঝে আসছে না। 

রাস্তায় খড় শুকানো কয়েকজন কৃষক বলেন, বাড়িতে জায়গা নেই। গরুর জন্য খড় শুকাতে হচ্ছে। এজন্য রাস্তায় খড় শুকানো। যদি রাস্তায় খড় না শুকাই তাহলে আমাদের আর কোন বিকল্প পথ নেই। খড় রাস্তায় শুকানোর কারণে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে, প্রশ্নের জবাবে একজন বলেন, কালকে থেকে আর রাস্তায় খড় দিব না। জানি মানুষের অসুবিধা হয়। 

ইউপি সদস্য ইসমাইল আলী বলেন, আমি তাদেরকে কতবার এ বিষয়ে বলেছি। তারা বলে, জায়গা নাই খড় শুকানোর। তবে আমি আজ আবারও তাদেরকে বলব, রাস্তায় খড় না দেওয়ার জন্য। 

ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান মানিক মিয়া বলেন, আমার জানা নায়। তবে আপনি যখন বলছেন, আমি এ বিষয়ে ইউপি সদস্যদের সাথে আলাপ করব। 

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমানকে ফোনকল দিলে তিনি রিসিভ করেন নি।
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ