বিজ্ঞাপন
গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি : গোলাপগঞ্জে শপিংমল গুলোর প্রবেশ মুখে নেই হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। শপিংমলে আগত যানবাহন গুলোকে জীবাণুমুক্ত রাখার নেই কোনো ব্যবস্থা। এমনকি বেশির ভাগ ব্যবসায়ীদেরও নেই প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষার সামগ্রী। গাদাগাদি করে কেনাকাটা চলছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নেই কোন ব্যবস্থা। এতে করে বেড়ে যাচ্ছে করোনার ঝুঁকি।
শনিবার (১৬ মে) উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার সবচেয়ে বড় শপিংমল গুলোর মধ্যে গোলাপগঞ্জ এ.ওয়াব প্লাজা, আল মারওয়া শপিং কমপ্লেক্সে, কুশিয়ারা শপিং সেন্টার, হাজী আসিদ আলী শপিং কমপ্লেক্সে, নূর মেনশনসহ বড় বড় শপিংমল গুলোর প্রবেশ মুখে নেই করোনা প্রতিরোধক কোন ব্যবস্থা।
এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে দোকান ও শপিংমল চালু রাখা যাবে উল্লেখ করে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের আদেশে গত (১০ মে) থেকে সারাদেশে দোকানপাট ও শপিং মল মল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
এই সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেশের অনেক জায়গায় দোকানপাট ও শপিংমল খোলা হয়েছে। তবে দেশের অনেক জায়গায় ব্যবসায়ীরা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নিজ থেকে দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন। এই উদ্যোগকে দেশের বেশির ভাগ মানুষ স্বাগত জানিয়েছেন।
গোলাপগঞ্জেও প্রথমে শপিংমল গুলো বন্ধ রাখার জন্য বাজার বণিক সমিতি ব্যবসায়ীদের সাথে নিয়ে শপিংমল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। অনেকে এই সিদ্ধান্তটিকে উপেক্ষা করে পরদিন থেকে দোকান খোলা শুরু করেন। পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আবারও গোলাপগঞ্জের সকল ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খোলেন।
কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে এ বিষয়ে কথা হয়। তারা জানান, আমরা সবাই মিটিং করেছি দোকান বন্ধ রাখার জন্য। তবে সেটি উপেক্ষা করে অনেকে দোকান খুলেছেন। এজন্য আমরাও খুলেছি। সবাই আবার যদি সিদ্ধান্ত নেয় বন্ধ করার জন্য আমরা রাজি আছি।
কিন্তু সরকারি সিদ্ধান্ত যে শপিং মলের প্রবেশ মুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার ব্যবস্থা করার জন্য। সেটা নেই কেন? তারা বলেন, আসলে আমরা এ বিষয়ে কোন উদ্যোগ নেই নি। বা এ বিষয়ে কেও কারো সাথে কথাও বলেনি।
বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আলেকুজ্জানান আলেক বলেন, এ বিষয়ে আমরা ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করেছি। সরকারি যে নির্দেশনা আছে তা মেনে আপনারা দোকানপাট খোলা রাখেন। তারপরেও যদি কেও না মানে এতে তো আর আমাদের কিছু করার নেই।