বিজ্ঞাপন
জাহিদ উদ্দিন: গোলাপগঞ্জের বাদেপাশা ইউনিয়নের নওয়াই গ্রামের যুবক (২২) ও লক্ষীপাশা ইউনিয়নের জাঙ্গালহাটা গ্রামের ২০ বছরের যুবতি সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। সোমবার রাতে তারা বাড়ি ফিরে আসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মনিসর চৌধুরী ।
এদিকে মঙ্গলবার বাদেপাশা নোয়াই গ্রামের সাংবাদিকদের জানান, তিনি ঢাকা মুগদা হাসপাতালে করোনা ভাইরাস সন্দেহ নমুনা দেন। এরপর এই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৮মে শুক্রবার রাতে তার রিপোর্ট এসএমএস এর মাধ্যমে পজেটিভ বলে জানানো হয়। এরপর নিজ ইচ্ছায় তিনি সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তী হন। ভর্তী হওয়ার পর তার রিপোর্ট আবারো এসএমএস এর মাধ্যমে নেগেটিভ আসে বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি আরো বলেন, আমি আগ থেকেই শারিরীক ভাবে কিছু অসুস্থ ছিলাম তাই হাসপাতালে ঔষধ খেয়ে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে এসেছি।
আব্দুল খালিকের সংস্পর্শে এসে তার বাড়ির একটি শিশুর করোনা পজেটিভ কিভাবে আসলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার বোন (আক্রান্ত শিশু) সম্পন্ন সুস্থ তারও করোনা পজেটিভ না। রিপোর্ট ভুল হতে পারে।
রিপোর্ট ভুল প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, পিসিআর ল্যাবে যা রিপোর্ট আমাদের কাছে আসে তাই আমরা রোগীদের জানিয়ে দেই।
উল্লেখ্য, গোলাপগঞ্জ উপজেলায় এখন পর্যন্ত ২১ জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৯ এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শুধু মাত্র পৌর এলাকায় রয়েছেন একই পরিবারের রয়েছেন ১৪ জন রোগী।