বিজ্ঞাপন
সামিল হোসেন : করোনা ভাইরাস। বর্তমানে এটি এমন একটি ভাইরাস যা পুরো বিশ্ব কে হার মানিয়ে ক্রমাগত এর আক্রমণ বেড়েই চলতেছে। বিশ্বের মানুষ আজ অসহায়ের মত হার মেনে নিচ্ছে এই ভাইরাসের কাছে।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নানা দেশের মত বাংলাদেশও বেড়ে চলেছে মৃত্যুর হার।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের এক গবেষনায় দেখা যায়,বাংলাদেশ এই মুহূর্তে জাতীয় পর্যায়ে এই ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে। যা আমরা গত তিন দিনেই উপলব্ধি করেছি।
অন্যানো দেশগুলিতে আমরা ইতিমধ্যেই দেখে আসছি যা প্রতিনিয়ত পরিনতি হচ্ছে হাসপাতাল গুলো লাশের স্তূপে। মর্গে আর জায়গা নেই এমন একটি পরিস্থিতিতে বিত্তশালী দেশগুলি যেনো করোনার এই করুণ লড়াইয়ে হিমশিম খাচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায় যদি আমাদের বাংলাদেশের কথা চিন্তার করি তাহলে গেরান্টি কি এই করুণ অবস্হা থেকে রক্ষা পাওয়ার?
তারপরও আমরা সচেতন না হয়ে প্রতিনিয়ত ভূল করে যাচ্ছি। সেই ভূলের মধ্যে কম কিন্তু না খাদ্যসামগ্রী ও করোনা প্রতিরোধক সামগ্রী বিতরন।
তবে হ্যাঁ আমি গর্ব করে বলতে পারি, করোনার এই করুণ সময়েও নেতৃবৃন্দ ও আমার প্রান প্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের সেচ্ছাসেবী ভাইয়েরা, করুণ এই পরিস্হিতি যারা কর্মহীন হয়ে পড়েছে বিশেষ করে এদেশের দিনমজুর ও খেটেখাওয়া ভাই বোন গুলো।
ঠিক তখনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের পাশে দাড়িয়েছে এদেশের প্রান প্রিয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সেচ্ছাসেবী ও নেতৃবৃন্দ। তাদের এই কর্মে আমি জানাই সেলুট ও অন্তরের গভীরস্হল থেকে ভালোবাসা।
কিন্তু আমি মনে করে দিতে চাই প্রিয় ভাই ও বোনেরা এটি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়। এটি এমন একটি ভাইরাস যা মারাত্বক ছোঁয়াচে করুণ ভাইরাস যার নাম করোনা।
বর্তমানে আপনার একটি আবেগী সিদ্ধান্ত অথবা ত্রাণসামগ্রী বিতরণ সবচেয়ে বড় ভয়াবহ বিপর্যয় নিয়ে আসবে।
তাই বলে আমি এই কথা বলতেছি না,আপনারা ত্রান বিতরন করবেন না। ইতিমধ্যে দেখেছি অনলাইনে করোনা সচেতনতায় ও এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে এবং অন্যকে সচেতন করতে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে।
তাই বলে এই নয় যে প্রান প্রিয় নেতৃত্ব ও সেচ্ছাসেবী ভাই বোনেরা আপনারা,কোনো ধরনের সুরক্ষা পোশাক ছাড়া ত্রাণ বিতরণ ও প্রাথমিক কোন প্রশিক্ষণ ছাড়া এই মহৎ কাজে অংশগ্রহণ করে একজনের সাথে আর একজন হুমরি খেয়ে ছবি তোলা, অবাধে মেলামেশা করে ভাইরাসকে সাথে নিয়ে দিনশেষে নিজেই একটা ভাইরাসের ঘর হয়ে বাড়ি ফিরছেন না তো?
পরিশেষে বলতে চাই, আমার প্রান প্রিয় সেচ্ছাসেবী ভাই-বোন ও নেতৃবৃন্দরা অন্তত্য আপনার পরিবারের কথা চিন্তা করে হৈ হুল্লোড় না করে মাইক বাজিয়ে অতিথি ডেকে সেলফি বাজি ত্রাণ বিতরণ না করে, নিজে সচেতন ও সুরক্ষিত হয়ে আমাদের আশেপাশে লকডাউনে থাকা কর্মহীন ভাইবোনদের পাশে দাঁড়ান।
তবই আপনি সহ আপনার পরিবার ও সমাজ এই ভয়ংকর ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকবে তার সাথে খেদার জ্বালা মিটবে অসাহাদের।
অন্যতায়,আপনাদের দেয়া ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ নোবেল নিয়ে আসবে না আসবে নভেল করোনা।যেটি শুধু আপনাকেই না আপনার পরিবার সহ প্রিয় মাতৃভূমি মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিবে।
অবশেষ , নিজের এবং অন্যর প্রতি সতর্ক থাকুন এবং পরিবারের প্রতি এই সময়টায় বিশেষ যত্নবান হউন।
সবার সুস্বাস্থ্য ও নিরাপদ অবস্থান কামনা করে বিদায় নিলাম।