Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২০
সর্বশেষ সংষ্করণ 2020-04-15T17:22:25Z
গোলাপগঞ্জ

নিরব নিস্তব্ধতায় প্রানহীন গোলাপগঞ্জ!

বিজ্ঞাপন

ফাহিম আহমদ:: রাত মাত্র ৮টা। যেন মনে হচ্ছে রাত ৩টা। রাত ৩টা বললেও ভুল হবে। যেখানে রাত ৩/৪টা বাজলেও রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল থাকে চুখে পড়ার মত। সেখানে রাত ৮টা বাজতেই

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে নিয়মিত পুলিশি ও সেনাবাহিনী টহলে নিরবতা আর নিস্তব্ধতায় ছেয়ে গেছে পুরো গোলাপগঞ্জ উপজেলা।

ক্ষুদ্র এই ভাইরাসকে রুখতে এখন পর্যন্ত পৃথিবীর কোন শক্তি কাজে আসছে না। যার আক্রমণ প্রতিদিন বাড়তেই আছে। এই মূহুর্তে যার একমাত্র শক্তি হচ্ছে সবাইকে ঘরে অবস্থান করা। ঘরে থেকে এই ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে হবে।

কাঁচামাল, ওষুধ ও নিত্যপণ্যের দোকান নিদিষ্ট সময় ছাড়া সব দোকান বন্ধ ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। দিনের বেলা রাস্তাঘাটে, বাজার-হাটে মানুষের আনাগোনা কিছুটা চুখে পড়লেও সন্ধ্যা পর থেকে বিশেষ কোন প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে ঘরের বাহিরে দেখা যাচ্ছে না। আর বের হলেও মুখে মাস্ক লাগিয়ে বের হচ্ছেন। ঘর থেকে বের হলেই পড়তে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশ্নের মুখে। ধরা পড়লে গুনতে হচ্ছে জরিমানা।

উপজেলার চারিদিকে এখন শুনশান নিরবতা। সবাই অজানা অচেনা প্রতিপক্ষ করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। যে কোন উপায়ে এই ভাইরাসকে রুখতে হবে।

উপজেলার গোলাপগঞ্জ চৌমুহনী, হেতিমগঞ্জ বাজার, ঢাকাদক্ষিণ বাজার, ভাদেশ্বর বাজারসহ ছোট-বড় সব বাজারগুলো জনশূন্য। প্রতিদিন যে সব বাজার মানুষের সমাগমে ভরপুর থাকতো আজ সেই সব বাজারে শুধুই নিরবতা।

সরেজমিনে বুধবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলা ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। গোলাপগঞ্জের প্রতিটি দোকান শপিংমল, ভূষিমালের দোকান, টেলিকমের দোকান, ঔষধের দোকান, তরকারি বাজার, মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায় এই চিত্র।

উপজেলার মূল রাস্তাগুলোতে নেই গাড়ির যানযট। হঠাৎ দুই একটি সিএনজি, রিক্সার দেখা মিলে। নেই আগের মত গাড়ির হর্ণের শব্দ। টেলিকমের দোকান গুলোতে নেই উচ্চ আওয়াজের গানের শব্দ। রেস্টুরেন্টে নেই মানুষের জনসমাগম। টংয়ের চায়ের দোকানে নেই চায়ের সাথে বন্ধুদের আড্ডা দেওয়া।

উপজেলা প্রশাসন বলছে, করোনা মোকাবেলায় আমরা সবসময় মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। এই মূহুর্তে আমাদের সবাইকে ঘরে থাকা ছাড়া এই কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা সম্ভব নয়। এখন সবার উচিত নিজ থেকে সচেতনতা সৃষ্টি করা। বাইরা অযথা ঘুরাফেরা না করা।

দেখা হয় ষাটোর্ধ মতিন মিয়ার সাথে। বললেন এমন নিরবতার কথা। যিনি না কি ওনার এই বয়সে এমন নিরবতা কখনো আগে দেখেন নি। বললেন সারাদিন ঘরে বন্দি থাকি। ঘরে থাকতে থাকতে আর ভাল লাগতেছে না। তাই একটু বাড়ি থেকে রাস্তায় বের হয়েছি।

ব্যবসায়ী কবির আহমদ বলেন, আমি এই বাজারে দীর্ঘ ৩০ বছর থেকে ব্যবসা করে আসছি। এমন অবস্থা আগে দেখি নি। আজ কয়েকদিন থেকে আমার দোকান বন্ধ। অনেকটা কষ্টের মধ্যে জীবনযাপন করছি।

বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ