Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ মার্চ, ২০২০
সর্বশেষ সংষ্করণ 2020-03-16T06:41:21Z
সিলেট

সুনামগঞ্জে তুহিন হত্যা : বাবা ও চাচার মৃত্যুদণ্ড

বিজ্ঞাপন


সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কেজাউড়া গ্রামে আলোচিত শিশু তুহিন হত্যাকাণ্ডে দুই জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৬ মার্চ) সকালে এ রায় দেন জেলা ও দায়রা জজ ওয়াহিদুজ্জামান সিকদার।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- শিশু তুহিনের পিতা আব্দুল বাছির ও আপন চাচা নাসির উদ্দিন।

অপর দুই আসামী মাও. আব্দুল মোছাব্বির ও জামশেদ আলী’র বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদেরকে মুক্তি প্রদান করেন।

এর আগে গত ১০ মার্চ তুহিন হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে চাচাতো ভাই শাহরিয়ার আহমদ (১৭) কে ৮ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত। শাহরিয়ারের ১৮ বছরের হওয়ায় আদালত তাকে ৮ বছরের আটকাদেশ দেন। সব মিলিয়ে এ মামলায় ২য় দফায় রায় প্রদান করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কেজাউরা গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই দিন সকালে বাড়ির পাশের একটি গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় তুহিনের মরদেহ পাওয়া যায়। এসময় তুহিনের গলা, দুই কান ও যৌনাঙ্গ কাটা ছিল ও পেটে দুটি ছুরি ঢুকানো ছিলো। এ ঘটনায় তুহিনের মা মনিরা বেগম বাদী হয়ে ঘটনার পরের দিন অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে দিরাই থানায় মামলা করেন। এই মালায় পুলিশ তুহিনের বাবা আবদুল বাছির (৪০), চাচা নাসির উদ্দিন (৩৫), আবদুল মছব্বির (৪৫) ও জমসেদ আলী (৬০) এবং ১৭ বছর বয়সী চাচাতো ভাই শাহরিয়ারকে গ্রেপ্তার করে।

পরে পুলিশ তুহিন হত্যা মামলায় গত ৩০ ডিসেম্বর এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এরপর আদালতে অভিযোগ গঠন হয় ৭ জানুয়ারি। আজ অলোচিত তুহিন হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রদান করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর শামছুন নাহার বেগম বলেন, আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা আরও বাড়বে।

আসামী পক্ষের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন অ্যাডভোকেট বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু।
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ