বিজ্ঞাপন
সালমান ফরিদ: করোনা ভাইরাসের জন্য দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সিলেট শহরের হযরত শাহজালাল মাজার মসজিদের সামনের দৃশ্য এটি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর ছবিটি তোলা।
যখন করোনা থেকে নিরাপদ থাকতে মুসলমানদের কা’বায় উপস্থিতি একেবারে সীমিত করে আনা হয়েছে, যখন মুসলমানদের প্রথম মসজিদ মাসজিদুল আকসা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, যখন আজানে মুয়াজ্জিন ‘হাইইয়া আ’লাস সালাহ’ এর পরিবর্তে বলছেন, ‘ঘরে নামাজ পড়ুন’—, তখন এই দৃশ্য না ভাবিয়ে পারে না।
সারা বছরই তো পূণ্যভূমি সিলেটে আসা যাবে। সারা বছরই তো আল্লাহর ওলী হজরত শাহজালাল রহ. এর মাজার জিয়ারত করা যাবে। কেউ বাঁধা দেবে না। কেউ বাঁধা দেয়ও না! কিন্তু যখন বিশ্বের পরিস্থিতি একেবারেই বিপরীতে। তখন কেন মাজার দর্শনে আসতে হবে? শুধু হজরত শাহজালাল রহ. এর মাজার নয়, দেশের বিখ্যাত সব ওলী আউলিয়ার মাজারেও এই একই দৃশ্য!
অথচ জনস্বাস্থ্য ও অন্যদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য হলেও এই লোক সমাগম তৈরি না করলেও পারা যেত। আপাতত এমন সমাগম না করতে তাদের নিরুৎসাহিত করা উচিৎ। যখন বড় কোনো প্রয়োজনীয় কারণ এসে সামনে দাঁড়ায়, তখন এমন পদক্ষেপ নিতে ইসলামই অনুমোদন দিয়েছে। যেমনটি আজানের ক্ষেত্রে মসজিদে না এসে ঘরে নামাজ পড়ার কথা বলা হয়েছে!
আমার বিশ্বাস, যদি হজরত শাহজালাল রহ. এদের বলতে পারতেন, তাহলে অবশ্যই বলতেন, তোমরা এখন আমার কাছে এসো না। নিরাপদে থাকো। অন্যদের নিরাপদে রাখো। আল্লাহ তোমাদের নিরাপদে রাখুক।
আসুন, আমরা সচেতন হই! আগে বিশ্বব্যাপি মহামারী আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করি। জীবন বাঁচাই। তারপর না হয় জীবনের জন্য ছড়িয়ে পড়ি…
লেখকের ফেসবুক থেকে সংগ্রহকৃত।