বিশ্বনাথে নিখোঁজের ৪দিন পর নদীতে বৃদ্ধের লাশ:স্বজনদের আহাজারি

বিজ্ঞাপন

হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পঞ্চাশোর্ধ যতিন্দ্র কুমার দাস এর লাশ নদীতে পাওয়া গেছে। নিখোঁজ হওয়ার ৪দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বাসিয়া নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের টেংরা (দাসপাড়া) গ্রামের মৃত হরেন্দ্র কুমার দাসের পুত্র।

নিহতের স্বজনরা জানান, গত রোববার রাত ১১টায় যতিন্দ্র কুমার দাস গ্রামের পার্শ্ববর্তী নদীর পাড়ে যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তিনি বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান পাননি। নিখোঁজের ৪দিন পর গতকাল বৃহম্পতিবার সকাল ১০টায় স্থানীয় লোকজন টেংরা গ্রামের পার্শ্ববর্তী বাসিয়া নদীর পানিতে হাত-পা বাঁধা অবস্থা যতিন্দ্র কুমার দাসের লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেন। এরপর দুপুর ১২টায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। ধারণা করা হচ্ছে, দুষ্কৃৃতিকারীরা যতিন্দ্র কুমার দাসের হাত-পা বেঁধে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। এরপর গলা ও পায়ের সাথে মাটির বস্তা বেঁধে নদীতে ফেলে দেয়।

এদিকে, চার কন্যা সন্তানের জনক যতিন্দ্র কুমার দাস নিহতের ঘটনায় টেংরা গ্রামে বিরাজ করছে শোকের ছায়া। নিহতের স্ত্রী-সন্তান ও স্বজনদের কান্না আহজারিতে ভারি হয়ে গেছে বাড়ির পরিবেশ। তাদেরকে সান্তনা দেয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলছেন পাড়া-প্রতিবেশীরা।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ শামীম মুসা জানান, যতিন্দ্র কুমারকে হত্যা করা হয়েছে, এটা প্রায় নিশ্চিত। আমরা ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্র্গে প্রেরণ করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।