বিজ্ঞাপন
জিভি২৪ নিউজঃ সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘন্টায় ২০২ জনকে নতুন করে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগে মোট ৬৩৪ জনকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে হোম কোয়রেন্টিন করে রাখা হয়েছে।
এ তথ্য জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বুধবার বলেন, হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা বেশিরভাগই প্রবাসী ও তাদের স্বজন।
হোম কোয়ারেন্টিনে থাকাদের মধ্যে সিলেট জেলার ৪২১ জন, সুনামগঞ্জে ৪০ জন, হবিগঞ্জে ২২ জন ও মৌলভীবাজারে ১৫১ জন রয়েছেন। এছাড়া সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে আছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী এক নারী।
আনিসুর রহমান বলেন, গত ১০ মার্চ থেকে সন্দেহভাজন আক্রান্তদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়। মূলত দেশে আসা প্রবাসীদেরই কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। ৮ দিনে ৬৩৪ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে।
এদিকে, নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৮ মার্চ) মহাখালীতে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। এছাড়াও নতুন করে আরও চার রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। ফলে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ১৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। ১৪ জন আক্রান্ত হলেও দেশে ক্রমেই বাড়ছে সন্দেহভাজন রোগী। এরমধ্যে প্রবাসী অধ্যুষিত হওয়ায় সিলেটকে করোনাভাইরাসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিপুল সংখ্যক লোক হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হলেও এই ব্যবস্থা কতোটা কার্যকর এই নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। হোম কোয়ারেন্টিনে যাদের রাখা হচ্ছে তারা হোম কোয়ারেন্টিনে থাকছেন না বলেও অভিযোগ ওঠছে। তবে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল বলছেন, হোম কোয়ারেন্টিনে যারা আছেন তাদের ব্যাপারে প্রশাসন নজরদারি রাখছে। কেউ কোয়ারেন্টিনে না থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, শামসুদ্দিন হাসপাতালে লন্ডন প্রবাসী এক নারীকে মঙ্গলবার থেকে কোয়ারেন্টিন করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুশান্ত কুমার মহাপাত্র। তিনি আরও জানান, শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে মোট ১১ জন ছিলেন, এদের মধ্যে ১০ জনই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।