বিজ্ঞাপন
জিভি২৪ ডেস্কঃ সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার কদুপুর (মাঝপাড়া) গ্রামের আত্তর আলীর ছেলে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী আলী হোসেনের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।বুধবার (১৮ মার্চ) সিলেট জেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের ভাই আনোয়ার হোসেন।
অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন বলেন, গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে পরিকল্পিতভাবে একই গ্রামের মৃত আফতাব আলীর পুত্র আলী হোসেন ওরফে আলীর নেতৃত্বে জামাল আহমদ, মাসুদ আহমদ, আব্দুল কাদির, শাহিন আহমদ, দুলাল আহমদ, জায়েদ আহমদ, তাজুল ইসলাম, নাজির আহমদ, মাসুম আহমদ, কাউসার আহমদ, আখতার, দেলোওয়ার, সমর আলী, জাকির, সাজু মিয়া, হেলু মিয়া, সায়েক আহমদ, মিনুর আহমদ, মৌলা মিয়া, রুনু মিয়া, রুবেল আহমদ, ময়বুল মিয়া, হারুন মিয়া, মশাহিদ আলী রায়বার, মক্তদির আলী, বশির মিয়া, মোশাররফ আলী, লিজু মিয়া, নাসিম আহমদ, জামিল, কামিল আহমদ, সালিক মিয়াসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন লোক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এ সময় তিনি ও তার প্রবাসী ভাই আলী হোসেনসহ অন্যরা ঘর হতে বের হলে প্রথমে হামলাকারীরা তার ভাইয়ের উপর গুলি চালায়। এতে তিনি ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করে। এ সময় তারা বসতঘরে ব্যাপক তান্ডব চালিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে।একপর্যায়ে প্রভাবশালী আসামিরা র্যাব-৯ কে খবর দেয়।
র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার ভাইকে গোলাপগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরবর্তীতে সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ আমাদের নিকট লাশ হস্তান্তর করে।
তিনি বলেন, মৃত আফতাব আলীর পুত্র আলী হোসেন ওরফে আলীর পরিবারের সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে তাদের সাথে আমাদের অনেক মামলা-মোকদ্দমা চলছে। ২০১৭ সালের ২৩ জুন দুপুরে কদুপুর গ্রামে মসজিদের গেইটের সামনের রাস্তায় তারা আমাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় তাদেরই আঘাতে আসামি আলীর ভাই ইমাম হোসেনের মৃত্যু হয়।এ ঘটনায় ওইদিনই আমাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আলী হোসেন বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ থানায় হয়রানিমূলক একটি মামলা করে। যার নম্বর ১০। ইমাম হোসেন মারা যাওয়ার পর আসামি আলী হোসেন আমাদের পরিবারের লোকজনের উপর আক্রোশিত হয়ে উঠে।
ওই সন্ত্রাসীরা আমাদের এবং আমাদের আত্মীয়স্বজনদের ১১টি বাড়িঘর ভেঙ্গে ফেলে। শেষ পর্যন্ত তারা আমাদের উপার্জনক্ষম একমাত্র ভাই সাউথ আফ্রিকা প্রবাসী আলী হোসেনকে হত্যা করে। আমার প্রবাসী ভাই আলী হোসেনের বিরুদ্ধে গোলাপগঞ্জ অথবা দেশের কোনো থানায় মামলা কিংবা কোনো অভিযোগ নেই।আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, আমার ভাইকে হত্যার ঘটনায় গোলাপগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেয়। পরে আমি আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে আলী হোসেন ওরফে আলীসহ ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত রেখে আদালতে মামলা দায়ের করি। যার নম্বর সিআর ৭৪/২০২০। আদালত গোলাপগঞ্জ থানাকে মামরা রেকর্ড করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিলে গোলাপগঞ্জ থানা মামলা রেকর্ড করে। যার নম্বর ০৯, তারিখ ১০/০৩/২০২০।
মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। এখন পর্যন্ত কোনো আসামি ধরা পড়েনি। উল্টো আসামিরা আমাদেরকে হুমকি দিচ্ছে। তাদের ভয়ে আমরা বাড়িতে যেতে পারছি না এবং ঘর নির্মাণও করতে পারছি না।তিনি আলী হোসেনের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন বলেন, গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে পরিকল্পিতভাবে একই গ্রামের মৃত আফতাব আলীর পুত্র আলী হোসেন ওরফে আলীর নেতৃত্বে জামাল আহমদ, মাসুদ আহমদ, আব্দুল কাদির, শাহিন আহমদ, দুলাল আহমদ, জায়েদ আহমদ, তাজুল ইসলাম, নাজির আহমদ, মাসুম আহমদ, কাউসার আহমদ, আখতার, দেলোওয়ার, সমর আলী, জাকির, সাজু মিয়া, হেলু মিয়া, সায়েক আহমদ, মিনুর আহমদ, মৌলা মিয়া, রুনু মিয়া, রুবেল আহমদ, ময়বুল মিয়া, হারুন মিয়া, মশাহিদ আলী রায়বার, মক্তদির আলী, বশির মিয়া, মোশাররফ আলী, লিজু মিয়া, নাসিম আহমদ, জামিল, কামিল আহমদ, সালিক মিয়াসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন লোক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এ সময় তিনি ও তার প্রবাসী ভাই আলী হোসেনসহ অন্যরা ঘর হতে বের হলে প্রথমে হামলাকারীরা তার ভাইয়ের উপর গুলি চালায়। এতে তিনি ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করে। এ সময় তারা বসতঘরে ব্যাপক তান্ডব চালিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে।একপর্যায়ে প্রভাবশালী আসামিরা র্যাব-৯ কে খবর দেয়।
র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার ভাইকে গোলাপগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরবর্তীতে সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ আমাদের নিকট লাশ হস্তান্তর করে।
তিনি বলেন, মৃত আফতাব আলীর পুত্র আলী হোসেন ওরফে আলীর পরিবারের সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে তাদের সাথে আমাদের অনেক মামলা-মোকদ্দমা চলছে। ২০১৭ সালের ২৩ জুন দুপুরে কদুপুর গ্রামে মসজিদের গেইটের সামনের রাস্তায় তারা আমাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় তাদেরই আঘাতে আসামি আলীর ভাই ইমাম হোসেনের মৃত্যু হয়।এ ঘটনায় ওইদিনই আমাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আলী হোসেন বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ থানায় হয়রানিমূলক একটি মামলা করে। যার নম্বর ১০। ইমাম হোসেন মারা যাওয়ার পর আসামি আলী হোসেন আমাদের পরিবারের লোকজনের উপর আক্রোশিত হয়ে উঠে।
ওই সন্ত্রাসীরা আমাদের এবং আমাদের আত্মীয়স্বজনদের ১১টি বাড়িঘর ভেঙ্গে ফেলে। শেষ পর্যন্ত তারা আমাদের উপার্জনক্ষম একমাত্র ভাই সাউথ আফ্রিকা প্রবাসী আলী হোসেনকে হত্যা করে। আমার প্রবাসী ভাই আলী হোসেনের বিরুদ্ধে গোলাপগঞ্জ অথবা দেশের কোনো থানায় মামলা কিংবা কোনো অভিযোগ নেই।আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, আমার ভাইকে হত্যার ঘটনায় গোলাপগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেয়। পরে আমি আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে আলী হোসেন ওরফে আলীসহ ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত রেখে আদালতে মামলা দায়ের করি। যার নম্বর সিআর ৭৪/২০২০। আদালত গোলাপগঞ্জ থানাকে মামরা রেকর্ড করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিলে গোলাপগঞ্জ থানা মামলা রেকর্ড করে। যার নম্বর ০৯, তারিখ ১০/০৩/২০২০।
মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। এখন পর্যন্ত কোনো আসামি ধরা পড়েনি। উল্টো আসামিরা আমাদেরকে হুমকি দিচ্ছে। তাদের ভয়ে আমরা বাড়িতে যেতে পারছি না এবং ঘর নির্মাণও করতে পারছি না।তিনি আলী হোসেনের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।